তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন

‘ফেসবুক, টুইটার ও গুগল ব্যবহার করা হারাম’

ফেসবুক, টুইটার ও গুগল- ফটো তোলা, টেলিভিশন দেখা, গান বাজনা শোনা, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ফেসবুক, টুইটার, গুগল ব্যবহার করা সবই হারাম বলে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। তসলিমা নাসরিনের সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘ধর্ম পালন করলে আল্লাহ রসুল যেভাবে পালন করতে বলেছেন, সেভাবেই পালন করা উচিত। ফটো তোলা, টেলিভিশন দেখা, গান বাজনা শোনা , সিনেমা থিয়েটারে যাওয়া, বিধর্মী বা কাফেরদের সংগে বন্ধুত্ব করা বা তাদের খেলা দেখা বা তাদের সমর্থন করা, তাদের দেশে ঘুরতে যাওয়া বা বসবাস করা, তাদের আইন মানা, চাকরি বা ব্যবসায় তাদের বস বলে মানা, তাদের বানানো জিনিসপত্র, ফর এক্সাম্পল গাড়ি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ফেসবুক, টুইটার, গুগল ব্যবহার করা — সবই হারাম।’

শুধু তাই নয়, শরিয়া আইন আনতে হবে। শরিয়া আইন ছাড়া বাঁচা কোনও মুসলমানের বাঁচা নয়। সার্ট প্যান্ট টাই কোট বিধর্মীদের পোশাক। পরা চলবে না।

মেয়েদের তো ঘরের বাইরে বেরোনো অনৈসলামিক, বেরোলে বোরখা পরতে হবে, শাড়ি পরাও তো হারাম, শাড়ি হিন্দুদের পোশাক। পরতে হবে মাথা থেকে পা পর্যন্ত জোব্বা।

স্বামীর প্রতিটি আদেশ মানতে হবে, লেখাপড়া চাকরি বাকরি চলবে না। স্বামীর মার সহ্য করতে হবে, সতীন থাকলে সতীন সহ্য করতে হবে। দিন রাত আল্লাহ রসুলের নাম জপতে হবে, তাঁদের সুনাম করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলতে হবে। কবরের আযাবের কথা মনে করে কান্নাকাটি করতে হবে।

তসলিমা আরও লিখেছেন, দুনিয়াদারির আরাম আয়েশ বাদ দিতে হবে। বুঝতে হবে এই দুনিয়ায় আল্লাহ মানুষদের পাঠিয়েছেন শুধু ঈমান পরীক্ষার জন্য, আসল দুনিয়া পরপারে। পরপারের সম্বল করতে হবে। সব শেষে তিনি লিখেছেন, এইসব অন্ধত্বকে সম্পূর্ণ বরণ করতে না পারলে সভ্য মানুষের মতো বাঁচা শিখতে হবে। যুক্তির পক্ষে আর মানবতার পক্ষে।

শেয়ার করুন: