মেসি

লিওনেল মেসি হাসলেন এবং হাসালেন

রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে মেসির অফ ফর্ম নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। মেসি ভক্তরা অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন ফর্মের ফেরার। মঙ্গলবার সেন্ট পিটাসবার্গে বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।

দলের হয়ে গোল করে অবদান রাখেন লিওনেল মেসি ও মার্কোস রোহো। তাদের কাঁধে ভর করেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

খেলার ১৪ মিনিটে এভার বানেগার থ্রু থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন মেসি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে ছোট ম্যাজিসিয়ানের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬।

এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ দাগান তারা। সুযোগও আসে। ৩২ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে যান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে ফাউল করে তাকে থামান লিওন বালুগুন।

এতে হলুদ কার্ড দেখেন এ নাইজেরিয়ান। এতে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা।স্বাভাবিকভাবেই কিক নেন মেসি। তবে তার দুর্দান্ত শট অসামান্য দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক উঝো।

এরপর বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর গোল পাননি আলবিসেলেস্তেরা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যান তারা।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে গতি বাড়ায় নাইজেরিয়া। ফলে সমতায় ফিরতেও সময় লাগেনি। ৪৯ মিনিটে আক্রমণে ওঠা লিওন বালুগুনকে ডি বক্সে ফাউল করেন হাভিয়ের মাশ্চোরেনা। এতে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ফলে পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। ৫১ মিনিটে সফল স্পট কিকে বল জালে জড়ান ভিক্টর মোজেস।

এরপর গোল পেতে মরিয়া হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। একটি মাত্র গোলের জন্য হন্য হয়ে ছুটেন মেসিরা। তবে গোলের দেখা মিলছিল না। এদিকে ধীরে ধীরে সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাহলে কী পারবেন না তারা।

কিন্তু না, নাটকের তখনো ঢের বাকি ছিল। অবেশেষে ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার দিকে মুখ ফিরে চান ফুটবল দেবী। এবার ত্রাতা রোহো। গাব্রিয়েল মার্কাদোর ক্রসে দারুণ ভলিতে নিশানাভেদ করেন এ ডিফেন্ডার।

এতে একরকম জয়ই নিশ্চিত হয়ে। বোধ হয় সেই কারণেই ওই সময় রোহোর কাঁধে চড়ে বিজয়োল্লাসটা সেরে ফেলেন মেসি। পরে যে তাদের ওভাবে জয় উদযাপন করতে দেখা গেল না।

শেয়ার করুন: