ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমার। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ বার মতো ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম এতো ফাউলের ফলে পরবর্তী ম্যাচের আগে ব্যথার কারণে ঠিকমতো অনুশীলনও করতে পারেননি এই ব্রাজিল তারকা। এই ম্যাচের পর সমর্থকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সমবেদনা পেয়েছেন নেইমার।
তবে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে অদ্ভুত এক কারণে ঠিক ততটাই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সমালোচকদের দাবি, গায়ে কোনো রকম ছোঁয়া লাগলেই পড়ে যান নেইমার। মাঠে খেলার চেয়ে অভিনয়েই বেশি মনোযোগী নেইমার।
ফুটবলারদের মধ্যে একটু অভিনয়ের প্রবণতা দেখাই যায় যায়। তবে, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে নেইমারের অভিয়নটা ধরা পড়েছে বেশ দৃষ্টিকটুভাবে।
এদিন ওই ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ১২ মিনিট আগে কোস্টারিকার বক্সের মধ্যে বল পান নেইমার। কোস্টারিকার সেন্টার ব্যাক জিয়ানকার্লো গঞ্জালেজকে ঠিকই বোকা বানিয়েছিলেন তিনি।
তবে, জিয়ানকার্লো গঞ্জালেজ এসময় বাধা দিতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় নেইমারের গায়ে একবার হাত দেন। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান নেইমার! রেফারিও পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি।
নেইমারের এমন অভিনয়ে ক্ষেপে যান কোস্টারিকার খেলোয়াড়রা। ঘিরে ধরেন রেফারিকে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির শরণাপন্ন হন ফিল্ড রেফারি। সেখানেই ধরা পড়ে যায় নেইমারের ‘অভিনব’ অভিনয়। রেফারি তার সিদ্ধান্ত পাল্টান। বাতিল করেন পেনাল্টি।
যদিও নেইমারের বলটি গোলে শট করার সময় এবং সুযোগ দুটোই ছিল। তিনি অভিনয় না করে গোলে শট করলেই হয়তো পরাস্ত হতেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক কাইলর নাভাস।
তবে, কলঙ্কটা ঠিকই ঘুচিয়েছেন ব্রাজিল তারকা নেইমার। নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্রাজিল আক্রমণে থাকায় শেষ বাঁশি বাজাননি মাঠ রেফারি।
ডগলাস কস্টার অ্যাসিস্টে চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলেন নেইমার। তার আগে কৌতিনহোর গোলে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল দল ২-০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।