মা জেলে এবং অসুস্থ। দলের অবস্থা নাজুক। নেতা কর্মীরা হতাশ এবং দিশেহারা। কিন্তু এইসব প্রতিকূলতাও তারেক জিয়াকে জুয়া থেকে দূরে রাখতে পারেনি। ফুটবল বিশ্বকাপে বেটিং এ মজেছেন তারেক জিয়া। শুধু অনলাইন বেট হাবে নয়, সরাসরি ক্লাবে গিয়ে ফুটবল বাজিতে অংশ নিচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। লন্ডনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকালও আর্জেন্টিনা- ক্রোয়েশিয়ার খেলা তিনি দেখেছিলেন একটি বেটিং পাবে। বাজি ধরে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে। বাজিতে তারেক জিয়া জিতেছেন দুই হাজার পাউন্ড।
ফুটবল জুয়া যুক্তরাজ্যে বৈধ। কম বেশি ১০০ বেটিং সাইট আছে অনলাইনে। এই সব বেটিং এ সক্রিয় ১৭ বছরের দণ্ডিত এই দুর্নীতির বরপুত্র। অনলাইন বেটিং ছাড়াও বিশ্বকাপ উপলক্ষে দামি এলিট পাব (মদ্যপানের জায়গা) এবং ক্লাব গুলো ইনস্ট্যান্ট জুয়ার আয়োজন করে থাকে। এসব ক্লাবে নূন্যতম ১০০ পাউন্ড দিয়ে ঢুকতে হয়।
খেলা শুরুর আগে বাজির কুপন কিনতে হয়। ধরা যাক, আর্জেন্টিনা এবং ক্রোয়েশিয়া খেলা লন্ডনের বিলাসবহুল স্পোর্টস লাউঞ্জ ক্লাবে আয়োজন করা হয় বড়পর্দায় খেলা দেখার। সঙ্গে থাকে নানা পানীয়।
এই ক্লাবে গেলে, আপনি বাজি ধরতে পারেন। আপনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর্জেন্টিনা জিতবে এই ধারণায় আপনি ১০০ পাউন্ডের কুপন কিনলেন। গতরাতে ওই ক্লাবে বাজির দর ছিল ১০০: ১১০। অর্থাৎ আর্জেন্টিনা জিতলে ১০০ পাউন্ডের কুপনের বিপরীতে আপনি পেতেন ১১০ পাউন্ড। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে বাজির দর ছিল ১০০: ১৩০।
ক্রোয়েশিয়া জিতলে আপনি ১০০ পাউন্ডের কুপন কিনলে পাবেন ১৩০ পাউন্ড। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই বন্ধুকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত আটটায় কিং ক্রসের স্পোর্টস ক্লাবে প্রবেশ করেন তারেক জিয়া। খেলা শেষে তিনি ২০০০ পাউন্ড জিতে ক্লাব থেকে বেরুন।
ফুটবল জুয়া ছাড়াও তারেক জিয়া লন্ডনে নিয়মিত জুয়া খেলেন। ওয়েস্ট ফিল্ডের ক্যাসিনোতে তারেক জিয়া চেনা মুখ। কিছুদিন আগে, তারেক জিয়া লন্ডন পুলিশের কাছে তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন জুয়া তার প্রধান পেশা।
লন্ডনে বিএনপির মধ্যে তারেক জিয়ার জুয়া নিয়ে এখন নানা মুখরোচক আলোচনা চলছে. বিএনপিতে তাকে গ্যাম্বলার কোড নাম ডাকা হয়। একজন নেতা বললেন, তাঁর রাজনীতি করার দরকার কি? জুয়াড়ি হিসেবেই তো তিনি শিগগিরিই খ্যাতির শিখরে উঠবেন। অন্য একজন নেতা বললেন, যার মা জেলে, সে কিভাবে সারাদিন জুয়ায় মেতে থাকে?
ঢাকাতেও তারেক জিয়ার যোগাযোগ কমে গেছে। ফুটবল জুয়া নিয়ে ব্যস্ততার কারণে প্রায়ই তাকে পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। গতরাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে তারেক জিয়াকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।