কয়েকদিন ধরে যে হারে পানি বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহ নাগাদ কুড়িগ্রামসহ আশপাশের জেলায় বন্যা হতে পারে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) এ আগাম সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, পানি নামতে শুরু করেছে বন্যাগ্রস্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে। ভয়াবহ বন্যার শিকার মৌলভীবাজার এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ার হার বেশি।
সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল আছে। তবে কিছু এলাকায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। বিপরীত দিকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
এফএফডব্লিউসির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান জানান, ভারতের পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতি ও ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকার নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। সেই পানিই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া আছে। এ কারণে একদিকে তিস্তায় আরেকদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানিপ্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারেও আমরা সতর্কতা জারি করেছি।
এফএফডব্লিউসির বুধবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। তবে সিলেট জেলায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।
বুধবার পুরনো কুশিয়ারা মনু সুরমা, ও সুরমা, এসব নদীর মধ্যে অমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা বিপদসীমার সবচেয়ে ওপরে ১৭৪ সেন্টিমিটারে ছিল। মঙ্গলবার তা ১৪১ সেন্টিমিটারে এবং বুধবার তা ৯৯ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। এভাবে অন্যান্য স্থানেও পানির স্তর নেমে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও বলেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানির সমতল বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকবে।