টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। ১৯৮৭ সালে কলকাতায় জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। তারকা অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা ঘোষের সঙ্গে ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে সিনেমার জগতে পা রাখেন তিনি।
এর পর একে একে কাজ করেছেন সফল বিভিন্ন ছবিতে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রাজীব বিশ্বাসের পর কৃষাণ ব্রজের সঙ্গে সংসার করেছেন। কৃষাণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এখন একাই আছেন।
কিন্তু কৃষাণের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ কি? কেন টিকলো না সংসার। গত বছর বেশ ধুমধাম করেই দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কৃষাণ ব্রজ যাদবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তিনি।
কিন্তু এবারেও সংসারটা টিকিয়ে রাখা গেল না। বিয়ে ও বিচ্ছেদের জন্য প্রায় এক বছর চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন শ্রাবন্তী। সম্প্রতি নিজের বিচ্ছেদ ও আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে শ্রাবন্তী কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘এই সময়ের’ সঙ্গে।
সেখানেই নিজের বিচ্ছেদ ও আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে বেশ খোলামেলাভাবেই কথা বলেছেন শ্রাবন্তী। বিচ্ছেদ পরবর্তী জীবন এবং হতাশা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কাজ আর ছেলের পড়াশোনা, এই নিয়ে ব্যস্ত। ঝিনুকের ক্লাস এইট হলো।
ওর স্কুলে যেতে অসুবিধা হবে বলে বেহালা থেকে বাইপাসের ধারে বহুতল দালানে চলে এসেছি। আর হতাশ হয়ে নিজের ক্ষতি করতে পারব না। কারণ আমার ছেলে, বাবা-মা সবসময় আমায় আগলে রাখে।’
শ্রাবন্তী বলেন, ‘মাঝেমাঝে ভাবি এত ভালোবেসেও আমি ভালোবাসা পেলাম না। তাঁরপর ভাবি বাইরের লোকে যাই বলুক, আমি তো জানি কারো সঙ্গে কেন সংসার করতে পারিনি। বাইরের লোক কী বলল, তা নিয়ে আর ভাবি না।’
অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে নায়িকার ভাষ্য, ‘আমি খুব আবেগ প্রবণ। সংসার করতে ভালোবাসি। কিন্তু এখন মনে হয়, শুধু বর থাকলেই সংসার হবে- এমন নয়। স্বামী ছাড়াও সংসার করা যায়।’
সম্প্রতি ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রে তাহসানের বিপরীতে অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শ্রাবন্তী। ছবিতে তাকে দেখা যাবে অরিত্রী চরিত্রে। ছবিটি পরিচালনা করছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
এ সম্পর্কে শ্রাবন্তী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমার আলাদা একটা টান রয়েছে। কারণ আমার পূর্বপুরুষদের বাড়ি ছিল বরিশালে। তাই বাংলাদেশকে খুব ফিল করি।’
এর আগে দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় ‘শিকারী’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী। এবার শুধুই বাংলাদেশের প্রযোজিত ছবিতে কাজ করতে আসছেন তিনি।