কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা সদরে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গাড়িবহর। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই জুয়েল নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্পূর্ণ অক্ষত আছেন। তিনি দাউদকান্দিতে অবস্থান করছেন। আহত অন্যরা গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টায় দাউদকান্দি থেকে ২৫টি মাইক্রোবাসের বহর নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দাউদকান্দি পৌর সদর থেকে ২৫টি মাইক্রোবাসের বহর নিয়ে মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দাউদকান্দি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মহাসড়কের আমিরাবাদ ইউটার্নে ঢাকামুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে বহরের তিনটি মাইক্রোবাস ও দাঁড়িয়ে থাকা দুটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে চতুর্মুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রায়হান নামে পৌর ছাত্রদলকর্মী নিহত হন। তবে গাড়িবহরে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত গাড়িটি অক্ষত আছে বলে জানান ওসি।
দুর্ঘটনার পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন হোসেন বলেন, আমি ভালো আছি। আমার গাড়িবহরে ছাত্রদল নেতাদের গাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। আমার পৌর বিএনপির নেতাসহ আহত ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে ছাত্রদল নেতা মারা গেছেন, তিনি আমাদের এখানের। আমি এখন দাউদকান্দিতে রয়েছি। খন্দকার মোশাররফের ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমিরাবাদ এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আমাদের ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়েতে যাচ্ছিলাম। আমাদের সামনে ছাত্রদল নেতাদের একটা মাইক্রোবাস ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ছাত্রদল নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে মেরে দেয়। আব্বা আমিসহ অন্যরা পেছনের গাড়িতে ছিলাম। আমাদের গাড়ির কিছু হয়নি। মারুফ আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন স্পট ডেড। ১২ জন আহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় গৌরীপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।