গৌরী মন্দিরে রহস্যে ঘেরা কূপ! কি আছে এই কুপে?

নাম গৌরী মন্দির। পাকিস্তানে অবস্থিত তৃতীয় বৃহত্তম হিন্দু মন্দির এটি৷ দেশটির থারপারকরে এর অবস্থান৷ মনে করা হয় এই গৌরী মন্দির আসলে জৈন মন্দির৷ কিন্তু এখানে বেশিরভাগ হিন্দু দেব দেবীর মূর্তিই রয়েছে৷ এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী মাউন্ট আবুর মন্দিরের ধাঁচে৷ এর পাশের গ্রামকে বলা হয় গৌরী গ্রাম৷

স্থানীয়দের মতে, এই মন্দিরটি এক ধনী হিন্দু ব্যবসায়ী জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের জন্য নির্মাণ করিয়েছিলেন৷ আদ্যোপান্ত রহস্যে মোড়া এই মন্দির নিয়ে জনগণের কৌতূহলের শেষ নেই৷

তবে উল্লেখযোগ্য হল, এই মন্দিরের কাছে একটি কূপ রয়েছে, স্থানীয়রা মনে করেন এই কূপের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে৷ শোনা যায়, এক থারি নারীকে অপহরণ করেছিলেন রাজা উম৷

এই কূপে ঝাঁপ দিয়ে সেই নারী আত্মহত্যা করেছিল৷ স্থানীয়দের মতে এই কূপ কখনও শুকিয়ে যায় না৷ সবসময় এতে জল থাকে৷ এর জলও নাকি একেবারেই পরিষ্কার৷ দেখে মনে হয়, কোনও অদৃশ্য কেউ এর দায়িত্বে রয়েছে যে পরিষ্কার রেখেছে সব কিছু৷

রূপকথার মতো অনেকের ধারণা, মারবী নামের ওই নারী আজও এখানে থাকে, যদিও কেউ তাকে দেখেছেন বলে জানা যায়নি৷ মা গৌরীর আশীর্বাদে এই কূপে সর্বদা জলে পরিপূর্ণ থাকে বলেও অনেকের অন্ধ বিশ্বাস৷ কবর খুঁড়ে তুলে আনা হল তরুণীর মৃতদেহ! কারণ..

বিয়ে হয়েছিল ৮ মাস আগে। আচমকাই মেয়ের বাড়ির লোকের কাছে মঙ্গলবার রাতে খবর যায়, মেয়ে অসুস্থ। দ্রুত মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে বাড়ির লোক জানতে পারে, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মেয়ের বাড়ির লোকের অভিযোগ, তাঁদের জন্য অপেক্ষা না করেই মেয়েটিকে কবর দিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের পক্ষ থেকে শ্বশুরবাড়ির ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এর পর ময়না তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হল ওই মৃত তরুণীর দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডোমজুড়ের কেশবপুর আমতলা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল।

মৃত তরুণীর নাম সারিফা বেগম। মেয়ের আত্মীয়দের বক্তব্য, তাঁদের মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই মারধর করা হতো। তাঁদের অভিযোগ, এবারে একেবারে প্রাণেই মেরে ফেলা হল তাঁদের মেয়েকে। আর সেই হত্যাকে আড়াল করতেই তড়িঘড়ি কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সারিফার মামার দাবি, কবর থেকে তোলার পরে মৃত তরুণীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সারিফার শ্বশুরবাড়ির লোক। তাদের বক্তব্য, সারিফা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মেয়ের বাবার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পরেই তারা তাঁকে কবর দিয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি কেন পুলিশের দ্বারস্থ হলেন সেটা তারা বুঝতে পারছে না। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

শেয়ার করুন: