প্চরন্ড গরম আর বৃষ্টিতে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। কেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া, এ নিয়ে জনমনে আছে কৌতুহল। আবহাওয়া অফিস জানিয়ে দিলেন ঈদের দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে
তবে বৃষ্টির কারনে তেমন একটা বিড়ম্বনা না থাকলেও এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আর সে কারণেই ঈদে মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে।
গত কয়েক দিন সারা দেশে বৃষ্টি হয়েছে অঝোর ধারায়, তাতে এবারের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যায় কি না সে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে মানুষের মনে। ঈদের দিনও কি তাহলে আকাশের মুখ গোমড়া থাকবে? ওই দিন কি বৃষ্টি হবে? এমন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে সবার মনে।
আবহ্ওায়া অফিস জানিয়েছে, ঈদের দিন শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে সিলেট, ময়মনসিংহসহ রংপুরের বেশ কিছু জায়গায় ঈদের আনন্দে বাগড়া হয়ে ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা আছে। একইসাথে এসব এলাকায় বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, রাজধানীতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বিকেলের দিকে কিছুটা মেঘমালা তৈরি হবে। তখন ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে।
আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, এবং বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অধিদফতর জানায়, মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলায় ভূমিধসে মঙ্গলবার ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অতিবৃষ্টিতে পানি বেড়ে ফেনীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ভারি বর্ষণের কারণে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি সমতলে বাড়ছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ফলে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।
আটটি নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেগুলো হলো সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়ান, মনু, খোয়াই, ঢালাই, মুহুরী ও হালদা। ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।