ব্রিটিশ ভিসা

সহজ শর্তে ব্রিটিশ ভিসার নিয়ম শিথিল

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের দেশ থেকে চিকিৎসক ও সেবিকা (নার্স) নিয়োগের কোটা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে চিকিৎসক ও সেবিকা হিসেবে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সুযোগ বাড়বে। আগামীকাল শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হোম অফিস) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ২০১০ সাল থেকে ব্রিটিশ ভিসা প্রদানে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কর্ম ভিসায় (ওয়ার্ক পারমিট, যা টিয়ার-টু নামে পরিচিত) বছরে ২০ হাজার সাত শর বেশি লোক আনা যাবে না বলে কোটা নির্ধারণ করা হয়।

এখন সরকার চিকিৎসক ও সেবিকাদের এই কোটার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো ইইউর বাইরের দেশগুলো থেকে নিজেদের চাহিদামাফিক কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে।

চিকিৎসক ও সেবিকাদের এই কোটার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোটা সীমায় কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। ফলে শিক্ষক, প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্ম ভিসায় আগের চাইতে বেশি মানুষ যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে সহজ শর্তে নতুন একটি ভিসা রুট চালুর ঘোষণা দিয়েছে হোম অফিস। গত বুধবার ‘লন্ডন টেক উইকে’র অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এই ঘোষণা দেন।

নতুন এই ভিসা সম্পর্কে হোম অফিসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা যুক্তরাজ্যে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য এই ভিসা। বর্তমানে কেবলমাত্র ডিগ্রিধারীদের জন্য যে উদ্যোক্তা ভিসা রয়েছে সেটির স্থলাভিষিক্ত হবে ঘোষিত এই ‘স্টারআপ বিজনেস ভিসা’। ‘স্টারআপ বিজনেস ভিসা’র জন্য আবেদনকারীদের ডিগ্রিধারী হতে হবে না।

মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির পরামর্শে এবং প্রযুক্তিখাতের ব্যক্তিদের সুপারিশে নতুন এই ভিসা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোম অফিস। আগামী বছরের মার্চ থেকে নতুন এই ভিসা চালু হওয়ার কথা। এ ছাড়া অসাধারণ মেধাবী কোটা (এক্সেপশনাল ট্যালেন্ট) এক হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন: