কে এই বাঙ্গালী মেয়ে স্মিতা?

মাঝে মাঝেই আমাদের চারপাশে অনেক ঘটনা চখে পড়ে বা কানে আসে যা আমরা ভাবতে পারি না যে কিভাবে এটা সম্ভব। সেরকমই একটি মেয়ে হঠাৎ করেই সারা ফেলে দিয়েছে সারা দেশে। তবে সেটি আমাদের দেশ নয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।

আইএসসিতে দ্বাদশ র‌্যাঙ্ক করার পরে মেয়েকে বাবা উৎসাহ দিয়েছিলেন ভবিষ্যতে দেশের সেবা করার জন্য। এর পরই ইউপিসসি সিভিল এগজামিনেশনে চতুর্থ র‌্যাঙ্ক করেন স্মিতা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৩। পরবর্তী ১৫ বছরে এই বিদূষী চমকে দিয়েছেন গোটা দেশকে।

উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, দার্জিলিঙে এক বাঙালি পরিবারে জন্ম স্মিতার। বাবা প্রণব দাস আর্মির অফিসার। ছোট থেকেই মেয়ের দু’চোখে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন তিনি বুনে দিয়েছিলেন।

অচিরেই মিলে যায় সুযোগ। রেডিওতে ইউপিসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও সফলদের মধ্যে নিজের নাম শোনেন স্মিতা। বাবার স্বপ্ন স্বার্থক হয়। স্মিতা সবরওয়ালকে দেশের সাধারণ মানুষ চিনে ফেলে ‘দ্য পিপলস অফিসার’ হিসেবে।

আইএএস অফিসার স্মিতাকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে অ্যাডিশনাল সেক্রেটারির পদ দেওয়া হয়েছে। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার, যিনি এই সম্মান পেয়েছেন।

গত বছরের শেষে সেই পদে অভিষিক্ত হওয়ার আগে যে যে জায়গায় কাজ করেছেন সেখানকার মানুষেরা মুগ্ধ হয়েছেন স্মিতার কাজে।

কখনও নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় সাধারণের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা, কখনও হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলা কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া— স্মিতার বদলি হয়েছে এক জায়গা থেকে অন্যত্র।

কিন্তু তাঁর কাজের কথা ভুলতে পারেননি এলাকার মানুষরা। সারা দিনে ২০০-৩০০ মানুষের আবেদন শুনতে হয়েছে। কিন্তু কখনও ক্লান্ত হননি ‘দ্য পিপলস অফিসার’ স্মিতা সবরওয়াল।

শেয়ার করুন: