রমজানে টিভি তারকাদের ব্যস্ত্মতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রোজা রেখে তারা কীভাবে শুটিং করেন, সে কথাই জানিয়েছেন কয়েকজন তারকা
সজলঃ শুটিং করাটা আমার কাজ। তবে রোজার মধ্যে অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ কাজ করতে হয়। আমি রোজা রাখি, এটা প্রায় সবাই জানে। যেটা হয়, সেহরি খেয়ে একটু ঘুমাতে যাই। ১০টা-১১টা বেজে যায় ঘুম ভাঙতে। বাসা থেকে স্পটে যেতে আরও কিছু সময় লাগে। একবার শুটিংয়ে ঢুকে গেলেই হলো।
কাজ করতে করতে কখনো কখনো ইফতারির সময়ও হয়ে যায়। শুটিং ইউনিটে ইফতার করতে ভালোই লাগে। রোজায় শরীর নিস্ত্মেজ হয়ে পড়ে। তাই আগেই বলে রাখি-আমি কী খাব। সাধারণত জুস, খেজুর খাই। ইফতারিতে ভাত খেলে সতেজ লাগে। তাই সম্ভব হলে ভাতের ব্যবস্থা করতে বলি। সবজি বা গরম্নর মাংস দিয়ে ভাত খেলে প্রাণ ফিরে পাই।
অপূর্বঃ অন্য সবার মতো আমিও চাই রমজানে বাসায় থেকে ইবাদত-বন্দেগি করি। কিন্তু কাজকে তো ফাঁকি দেয়া সম্ভব নয়। রমজানের দুই মাস আগে থেকেই কাজের চাপ শুরম্ন হয়। ঈদের দিনও সেই ব্যস্ত্মতা কমে না। এমনও হয়েছে ঈদের নামাজ পড়ে স্টুডিওতে গিয়ে ডাবিং করে এসেছি।
রমজানে আমাদের সিডিউলে তেমন পরিবর্তন নেই। শুটিংয়ে যেতে একটু দেরি হয়। এ কারণে শুটিং করতে হয় মধ্যরাত পর্যন্ত্ম। বাসায় ইফতার করতে পারি না খুব একটা। ছেলে কিংবা বউ এটা মানতে চায় না। ভাবছি, ইফতারির বিরতিতে ওদের সঙ্গে কয়েক দিন ইফতারি করব।
মেহজাবীন চৌধুরীঃ আমার ভাই-বোনরা তো ছোট। একসঙ্গে ইফতার করার জন্য ওরা খুব করে বলে। কিন্তু পারি না। স্পেশাল কিছু রান্না হলে আম্মুকে রেখে দিতে বলি। শুটিং থেকে ফিরে সেটা খাই। আম্মু এখনো নিষেধ করে, ‘তুই ছোট, তোর রোজা রাখতে হবে না।’ তবু আমি চেষ্টা করি রোজা রাখার।
সন্ধ্যার আগে বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করি। সিডিউলের ব্যাপারে সবাইকে মোটামুটি বলে দিই, আমাকে সন্ধ্যার মধ্যে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যারা শুটিংয়ের খোঁজখবর রাখেন তারা জানবেন, এটা সম্ভব হয় না।