সিনেমার গল্পকেও হার মানাল এই প্রেম কাহিনী। দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে প্রেম ছিল। কিন্তু কোনো ভাবেই সেই সম্পর্কের পরিণতি পাচ্ছিল না। কারণ তাদের পথের কাঁটা ছিলেন প্রেমিকার স্বামী। কোনো কূল কিনারা না পেয়ে প্রেমিক নিজেই বিষ খেলেন। আর সেই খবর শুনে প্রেমিককে দেখতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে গেলেন প্রেমিকা।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালে প্রেমিকের বেডের সামনে দাঁড়িয়েই হাতের শাঁখা পলা খুলে স্বামীর হাতে ধরিয়ে দিলেন ওই নারী। এ যেন প্রেমের সম্পর্কের কাছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের করুণ পরাজয়। আর তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল সাক্ষী হয়ে রইল অনন্য এক প্রেম কাহিনীর।
ভারতের হুগলির ধনেখালির দেধারা গ্রামের পূজা দাসের সঙ্গে মান্তু দাসের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত শনিবার পুড়শুড়ার কেলেপাড়ার বাসিন্দা হেমন্ত ভৌমিকের সঙ্গে বিয়ে হয় পূজার। চাষবাস করেই দিন গুজরান হয় হেমন্তের। কিন্তু প্রেমিকা পূজার বিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি প্রেমিক মান্তু, আর এতে করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
তাইতো বৃহস্পতিবার (২৪ মে) নিজের বাড়িতেই বিষ খান তিনি। এরপর তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মান্তুকে। এ খবর পেয়ে স্বামীকে নিয়েই তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান পূজা।
ব্যস এখানেই পরিণতি পায় তাদের সেই অনন্য প্রেম কাহিনীর। মান্তুর বেডের সামনে দাঁড়িয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন পূজা। চিকিৎসক নার্স সকলের সামনেই নিজের মনের কথা স্বামীকে খুলে বলেন পূজা।
সঙ্গে খুলে দেয় নিজের হাতের শাঁখাও। এরই মধ্যে মান্তুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নিজের ভালোবাসাকে বাঁচাতে তার সঙ্গেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন পূজা।