তাজিনের বিপরীতে আমি প্রথম নায়ক হই। ‘অন্য মনে’ নামের নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন বুলবুল আহমেদ। সেই শুরু। দিনে দিনে বন্ধুত্ব তৈরি হলো।
জানতে শুরু করলাম, অভিনেত্রীর বাইরে ব্যক্তি তাজিন অত্যন্ত দুঃখী মানুষ। একের পর এক ঠকেছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করেননি কখনো। মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন হাজারো কষ্ট, যার পরিণতি আমরা দেখতে পেলাম।
এই মিডিয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছিলেন। অথচ মিডিয়ার কজন মানুষ তাজিনের পাশে দাঁড়িয়েছে? আমিও যে বড় বড় কথা বলছি, আমি কী করেছি তার জন্য! এত এত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি, নাটক নির্মাণ করছি, কই, তাজিনকে কি সুযোগ দিয়েছি?
আজ তাজিন নেই। অমনি তাকে নিয়ে বড় বড় কথা বলছি। স্মৃতিচারণা করছি। অথচ তিনি বেঁচে থাকতে কতটুকু খোঁজ নিয়েছি আমরা?
তাজিনের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১১ মে কক্সবাজারে। খুব একটা সময় দিতে পারিনি। শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভেবেছিলাম ঢাকায় ফিরে আড্ডা দেব। কিন্তু তা আর হলো না।