ফুপু দিলারা জামানের সাথে তাজিনের সম্পর্ক কেমন ছিল

ফুপু দিলারা জামানের – ফুপু দিলারা জামানের সাথে- দুপুরে মধুমতি মডেল টাউনে শুটিং করছিলাম। তখন নাসিম (অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম) ফোন করে জানালো তাজিন খুব অসুস্থ। একটু পরেই সবাই আমার দিকে তাকিয়ে বলছে তাঁর শরীর বেশি খারাপ।

চলো তোমাকে নিয়ে যাই। আমি তখনই বুঝতে পেরেছি কিছু একটা হয়ে গেছে। দুপুরে শুনলাম আর বিকালেই চলে গেলেন। এটা মানতে পারছি না। এখন তো তার চলে যাবার সময় নয়, কিন্তু সে চলে গেল।’ কথাগুলো বলছিলেন দিলারা জামান।

তার সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল? ‘অনেকদিন আগে দেখা হয়েছে। ফোনেও শেষ কবে কথা হয়েছে মনে নেই।’

অসুস্থ থাকা অবস্থায় বা মৃত্যুর সময় পর্যন্ত হাসপাতালে তাজিন আহমেদের কোনো আত্মীয়-স্বজনকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আসলে এ নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। আমি তো ওর পরিবার। আমি তো ওর পাশে আছি।’

জানা যায়, দিলারা জামানের সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ ছিল না তাজিনের। তাজিনের অভিনয় ক্যারিয়ারে খুব বেশি ভুমিকাও ছিল না দিলারা জামানের। তাজিন সাধারণত কোথাও বলতেনও না দিলারা জামানের নাম। তাজিন যখন অভিনয় শুরু করেন মায়ের হাত ধরে।

সে গল্প এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন। ‘আমি টেলিভিশন দিয়ে শুরু করেছিলাম। ১৯৯৬ সালে অভিনয় শুরু করি। সেটা আমার মায়ের কারণেই। আমার বন্ধুরা বললো এটা তো একটা ভালো কাজ। তুই ঘ্যানঘ্যান করতে থাক।

দেখবি তোাকে অভিনয় করতে দিবে। সত্যিই মা রাজি হয়ে গেলেন। মা একটা প্রডাকশন হাউজ শুরু করলেন। আমাদের প্রডাকশন হাউজের নাম খেয়া। আমার নামের সঙ্গে মিল রেখে জল এবং খেয়া। আর অভিনয়ের হাতেখড়ি চিত্রলেখা গুহর কাছ থেকে।’

শেয়ার করুন: