জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিনের আত্মীয় স্বজনরা কোথায়? জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিনের আত্মীয় স্বজনরা কোথায়?
তাজিনের আত্মীয় স্বজনরা – আজ উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় অভিনেত্রী তাজিন কে।
এরপর বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে মারা যান এই অভিনেত্রী। তাজিনের মৃত্যুর সময় পরিবারের কেউ পাশে ছিলেন না। অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে যোগাযোগ করেও কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান,‘খারাপ লাগলো এই ভেবে যে মৃত্যুর সময় তাজিনের পরিবারের কেউ ছিলেন না পাশে। এখন পর্যন্ত তাজিনের পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। ইফতারের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিব কখন, কোথায় জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।’জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন।
গত বছর ববি হাজ্জাজের নতুন রাজনৈতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) যোগ দিয়েছিলেন। পেয়েছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সম্পাদক (সাংস্কৃতিক) পদ।
সহকর্মীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া গেল না। জানা গেল, তাজিন আহমেদের পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালী।
তবে ছোটবেলায় বাবাকে হারানোয় পাবনায় নানা বাড়িতে বেড়ে ওঠেন তিনি। এরপর কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। মায়ের পৈতৃক বাড়ি ছিল আদাবরে।
সেখানেই মানুষ হতে থাকেন। পড়ালেখা শেষে শখের বশে অভিনয় শুরু করেন, করেছেন সাংবাদিকতাও। টেলিভিশনের জন্য নাটকও লিখেছেন। ছিলেন মঞ্চকর্মীও।
জানা যায়, এই অভিনেত্রীর মা বর্তমানে গাজীপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তাজিন আহমেদ মাঝে মধ্যে গিয়ে দেখে আসতেন। তারা খালা-মামারা আদাবরে থাকলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাজিনের।
দাম্পত্য জীবনেও অসুখী ছিলেন তাজিন। প্রথম জীবনে তাজিন আহমেদ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নাট্য নির্মাতা এজাজ মুন্নাকে। কিন্তু সে সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি।
এরপর তিনি বিয়ে করেন একজন মিউজিশিয়ানকে। এই সংসারেও হয়তো ঝামেলা ছিল। জীবন প্রদীপ নিভে যাবার আগে দ্বিতীয় স্বামীকেও কাছে পাননি।
শেষদিকে পরিবার কিংবা নাট্যাঙ্গন থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। কিছু প্রিয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হলেও সেটা মুঠোফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল। নীরবে, নিভৃতে সময় হয়তো হয়েছে বিষাদময়। তাঁর প্রমাণ মিলেছে ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলোতেও।