৫মিনিট আগেও ডাক্তার বলল ছেলে হয়েছে, ৫মিনিট পরই মেয়ে হয়ে গেল? ৫মিনিট আগেও ডাক্তার বলল ছেলে হয়েছে, ৫মিনিট পরই মেয়ে হয়ে গেল?
৫মিনিট আগেও – নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্লিনিকে সদ্য প্রসব হওয়া ছেলে শিশুকে বদল করে অন্য প্রসূতিকে দেয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজের মান নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ঘঁটনায় কর্তৃপক্ষের দাবী, নার্সের দায়িত্বের অবহেলায় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যা পরে ঠিক করা হয়েছে!
তবে চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দাবী করলেও মাহিয়া আক্তার লিমু নামে এক নার্সকে মৌখিকভাবে কাজে আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন তারা। ঘটনাটি সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের পপুলার ডায়াগনোস্টিক এন্ড ক্লিনিকের। রবিবার (২০ মে) রাতে ওই শিশু বদলের ঘটনা ঘটে৷
জানা যায়, ঘটনার দিন ওই ক্লিনিকে ডা. জাহেদুল ইসলাম তারাগঞ্জের ভবানিপুরের মো. তরিকুল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা আক্তারের সিজার করেন৷সিজারে তাছলিমার ছেলে সন্তান হয়।
পাশাপাশি একই সময়ে ওই ক্লিনিকে ডা. অমৃতা আগরওয়াল দিনাজপুরের চিরিরবন্দর বড় হাশিমপুরের জীবন রায়ের স্ত্রী পায়েল রানীর সিজার করেন।সিজারে পায়েল রানীর কন্যা সন্তান হয়৷ সিজারের পরে ডাক্তাররা রোগীকে কেবিনে দিয়ে চলে যায়৷ আর এর ফাকে দায়িত্বে থাকা নার্স সুযোগ বুঝে তাছলিমার ছেলে সন্তানকে বদলিয়ে পায়েল রাণীকে দিয়ে দেয়৷ আর পায়েল রানীর কন্যা সন্তানকে তাছলিমা আক্তারকে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে তাছলিমা আক্তার বলেন, তার ছেলে সন্তান হয়েছে এ কথা ডা. জাহেদুল ইসলাম সিজারের সময় তাকে জানায়৷ কিন্তু পরে ৫মিনিট পর সন্তানকে কাছে নিয়ে দেখি মেয়ে সন্তান! তখনই আকাশ থেকে পড়ি! ৫মিনিট আগেও ডাক্তার বলল আমার ছেলে হয়েছে। আর ৫ মিনিট পরই মেয়ে হয়ে গেল?
অপর দিকে পায়েল রানী জানান, নার্স (লিমু) বলেছে তার ছেলে সন্তান হয়েছে। এজন্য তার কাছ থেকে নার্স টাকা নিয়েছে বলে জানান তিনি৷ বাচ্চা বদলের ঘটনাটি সামনে আসলে ক্লিনিকে শোরগোল পড়ে যায়। ক্লিনিকটি নিয়ে শহরের মানুষের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক ডা. দেলোয়ারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি দাবী করেন, পায়েল রানীর শাশুড়ি জোরপূর্বক ছেলে বাচ্চাটি নিয়ে যাওয়ায় মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য বাচ্চা বদল হয়েছিল।
পরে তা সমাধান করা হয়েছে। বর্তমানে যার যার বাচ্চা তার তার কাছে আছে। এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে মাহিয়া আক্তার লিমু নামে নার্সকে মৌখিকভাবে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।