সাঈদী

কারাগারে কত টাকার ইফতারি পান সাঈদী

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কাশিমপুর কারাগারে আছেন আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসাঈন সাঈদী। শনিবার (১৯ মে) সকালে কথা হয় সাঈদীর ছেলে ও পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদীর সঙ্গে।

কারাগারে আপনার বাবা (সাঈদী) কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্বার বয়স ৮০ বছর। তিনি ৪০ বছর যাবত ডায়াবেটিক রোগে ভুগছেন। তার হার্টে ৫টি রিং পরানো আছে। তারপরেও বলব আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন। তিনি বলেন, ২০১২ সালে আব্বাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিলো। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য আর কোথায়ও কোনো হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। আব্বার চিকিৎসার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অনেক জায়গায় আবেদন করেছি। আবেদনে কাজ হয়নি।

সর্বশেষ ৩ মে আব্বাকে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়েছিলো। সেদিন সকাল সাড়ে দশটায় সাঈদীকে চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই হাসপতালে আনা হয়। মাসুদ সাঈদী বলেন, আব্বাকে পিজির ডাক্তাররা দেখার পর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে কারাগারে নিয়ে গেছেন।

‘আব্বাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে আমরা তিন ভাই (মাসুদ বিন সাঈদী, শামীম সাঈদী, নাসিম সাঈদী) আব্বার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা শুনেছি আব্বাকে ২৩ টাকার ইফতারি দেওয়া হবে’- বলছিলেন মাসুদ সাঈদী। তিনি বলেন, ২৩ টাকার ইফতারি অনেক কম। এই কম টাকার ইফতারি দিয়ে কি হয়?

তিনি আরও বলেন, আব্বা হাটুতে কোমরে ব্যাথা পান অনেক আগে থেকেই। আমরা আব্বার চিকিৎসাকে গুরুত্ব দিতে বলব সংশ্লিষ্টদের কাছে। কারণ দেশের অন্য নাগরিকরা কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার সুযোগ পেলে আব্বাকে কেন দেয়া হবে না?

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের তৎকালীন নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। তবে এর আড়াই বছর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল।

শেয়ার করুন: