খালেদা জিয়া

আজ জামিন পাবেন কি খালেদা?

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রায় জানা যাবে আজ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ এ রায় ঘোষণা করবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হয় গত ৮ই মে । এরপর ৯ই মে পর্যন্ত দু’দিন শুনানি হয়।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় ‘দুর্নীতি দমন কমিশন বনাম বেগম খালেদা জিয়া’ মামলাটি তালিকার ৩ নম্বরে রয়েছে। এর আগে গত ৯ই মে উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য ১৫ই মে (আজ) দিন ধার্য রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। শুনানির দু’দিন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় তুমুল হট্টগোল, হইচই ও উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রধান বিচারপতি এ নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করে আইনজীবীদের সতর্কও করেন।

সর্বোচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিনের স্বপক্ষে যুক্তি ও বক্তব্য এবং উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার নজির তুলে ধরেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করে নানা যুক্তি ও বিভিন্ন মামলার নজির তুলে ধরেন।

৯ই মে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য গ্রহণ শেষে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রায়ের জন্য ১৫ই মে (আজ) দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ১২ই মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। গত ১৪ই মার্চ আপিল বিভাগ এক আদেশে খালেদা জিয়ার জামিন ১৮ই মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে লিভ টু আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন। ১৯শে মার্চ এক আদেশে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করে ৮ই মে শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক। পাশাপাশি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খালেদা জিয়ার সামাজিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পরে বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টে আপিল ও জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রায়ের পর থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।

শেয়ার করুন: