তারেক রহমান
তারেক রহমান

তারেক রহমানকে প্রতিমাসে কত কোটি টাকা দেন তাবিথ?

তারেক রহমানকে প্রতিমাসে– পরিচালক আখতার হামিদ তাবিথ আউয়ালকে জিজ্ঞাসা বাদের জবাবে তিনি প্রতি মাসে তারেক রহমানকে ৫ কোটি টাকা পাঠানোর কথা স্বীকার করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, অবৈধ পন্থায় তাবিথ আউয়াল বিপুল পরিমাণ অর্থ লন্ডনে পাঠিয়েছেন। তারেক রহমানের নিকট প্রতি মাসেই এ অর্থ প্রেরণ করা হতো অবৈধ পথে। তবে কোন পন্থায় এই টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও দুদক কিছু বলতে চাইছে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে তারেক রহমানের কাছে শুধু তাবিথ আউয়াল নন, এরকম অন্তত আরো ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে লন্ডনে অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাবিথ আউয়াল এই ১০ জনের মধ্যে একজন।

দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, তরেক রহমানের কাছে টাকা পাঠানো ছাড়াও অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার করে আউয়াল পরিবার বিভিন্ন দেশে একাধিক কোম্পানি খুলেছে বলেও খবর পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, তাবিথ আউয়ালকে এবারই প্রথম নয়, এর আগে গত ২৪ এপ্রিলও তাবিথ আউয়ালকে তলব করে দুদক। পরে তাকে আবার ৮ মে দুদকে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়। দুদক সূত্র জানা গেছে, চলতি বছরই তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। গত ২ এপ্রিল তাবিথ আউয়াল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাত নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেক অনুসন্ধান শুরু হয়। এদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

তাবিথ আউয়াল ছাড়া অপর ১০ জন হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

শেয়ার করুন: