ফেসবুক

বিদ্বেষ রোধে ফেসবুকের নতুন উদ্যোগ

ফেইসবুক অথবা ফেসবুক বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে। ফেসবুকে কেউ বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিনা সেটি শনাক্তে একটি অপশন মঙ্গলবার (১ মে) বিভিন্ন ছবি, পোস্ট ও স্ট্যাটাসের নিচে প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে অল্প কিছু সময়ের জন্য বিভিন্ন পোস্টের নিচে এই অপশনটি দেখা যায়। কিন্তু অল্প কিছু সময় পরে এটি সরিয়ে ফেলা হয়। অপশনটি সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত ফেসবুকে পোস্ট, স্ট্যাটাস, লিংক ও ছবির নিচে দেখা যায় লেখা রয়েছে- ‘Does this post contain hate speech? অর্থাৎ এই পোস্টে কি কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রয়েছে?’ এই প্রশ্নের পাশেই রয়েছে ‘Yes তথা হ্যাঁ’ ও ‘No তথা না’ লেখা দুটি বাটন।

এই বাটনগুলো দিয়ে ওই পোস্ট সম্পর্কে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামত জানাতে পারছিলেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কারণে বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। ভুয়া খবর ও জাতিবিদ্বেষ ছড়ানো এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে বেহাত করে দেয়ার জন্য ফেসবুকের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।

মে মাসে জাতিসংঘ একটি মন্তব্যে বলে, মিয়ানমারে ফেসবুক পশুর রূপ ধারণ করেছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে ও তাদের আক্রমণের জন্য বেসামরিক লোকদের সংগঠিত করতে ব্যাপকভাবে ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারকেরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে হয়তো এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।

শেয়ার করুন: