মুস্তাফিজের আইপিএল শেষ?

মুম্বাইয়ের সর্বশেষ ম্যাচে সেরা একাদশে ছিলেন না মুস্তাফিজ। এটা ছিল প্রথমবারের মতো মুস্তাফিজের না খেলা। সেই ম্যাচেই কিনা হারের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে জয়ের ধারায় ফিরল মুম্বাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সামনের ম্যাচে বেঙ্গালুরু বিপক্ষে কি উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নামবে মুম্বাই? তাহলে কি মুস্তাফিজের আর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই?

মুস্তাফিজ দলে থাকা অবস্থায় ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে মুম্বাই। এর মধ্যে চারটি ম্যাচই হেরেছে শেষ ওভারে। শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়া না হলেও মুম্বাই তাঁদের এই মৌসুমে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়। শুধু মুস্তাফিজ নয় কাইরন পোলার্ডকেও বাদ দেওয়া হয় দল থেকে।

জে পি ডুমিনিকে একাদশে এনে ব্যাটিংটা আরও শক্তিশালী করে মুম্বাই। বেন কাটিংকেও দলে আনা হয় মুস্তাফিজের জায়গায়। লক্ষ্য ছিল বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখতে পারবেন কাটিং। কিন্তু বেন কাটিং অবশ্য পেস অলরাউন্ডার হিসেবে ওই ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।

তবে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মুম্বাইয়ের হয়ে এক ম্যাচ খেলা বেন বোলিংয়ে ছিলেন বেশ খরুচে। সেই ম্যাচে চার ওভার বল করে ১০ ইকোনোমিতে দিয়েছিলেন ৪০ রান। আর ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ৯ রান।

আর চেন্নাইয়ের সঙ্গে গত ম্যাচে বেন কাটিং বল হাতে এক ওভার রান দেন ১৪। এরপর আর তাঁকে বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক রোহিত শার্মা। ব্যাটিংয়ে যদিও সুযোগ পাননি।

তবে মুস্তাফিজ ৬ ম্যাচ খেলে একেবারে বাজে বোলিংও করেননি। নিয়েছেন সাত উইকেট। সর্বশেষ ম্যাচেই ৩.৪ ওভার বল করে ডট দিয়েছেন ১২টি বল। অর্থাৎ তাঁর করা ২২ বলের মধ্যে ১২টি বলই ডট ছিল।

সেই সঙ্গে অধিনায়ক রোহিত শার্মাও ফিজকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেননি। তাছাড়া বুমরার সঙ্গে দারুণ জমেছিল মুস্তাফিজের বোলিং জুটি।

ডেথ ওভারেও ভালো বল করেছিলেন মুস্তাফিজ। আর ফিজের ফিল্ডিংয়ের কথা যদি বলা হয়, তাহলে বলতে হয় ক্রিকেট বিশ্বের বাঘা বাঘা ফিল্ডাররাও কিন্তু ক্যাচ বা ফিল্ডিং মিস করেছেন।

উইনিং কম্বিনেশন না ভেঙে যদি বেন কাটিংকে বাজে পারফর্মেন্সের পরও খেলানো হয়, তাহলে অবাক করা কোন বিষয় হবে না। এখন দেখার বিষয় উইনিং কম্বিনেশন নাকি শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ নিয়ে আবারও মাঠে নামে মুম্বাই। কিন্তু ডেথ ওভারে ফিজকে মিস করবে মুম্বাই, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

শেয়ার করুন: