নায়িকা বানিয়ে দেব; বিনিময়ে কী দেবে? মুখ বুজে নির্যাতিত হওয়ার দিন শেষ হতে চলল। এবার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে সব শ্রেণীর নারীরা। গত কিছুদিন ধরেইসিনেমা জগতে কাস্টিং কাউচ ও যৌন নির্যাতন নিয়ে খোলাখুলি তীব্র বিতর্ক চলছে।
অনেক অভিনেত্রীই কোনো কিছুর পরোয়া না করেই প্রকাশ্যে কাস্টিং কাউচের বিরোধিতা করছেন। এই বিতর্ক নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। নাম বলিউড ডার্ক সিক্রেট। তথ্যচিত্রে অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তেও ঊষা যাদব ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
দুজনেই বলেছেন, এ ব্যাপারে নির্যাতিতা সাধারণত বিষয়টি নিয়ে খুব একটা নাড়াচাড়া করতে চান না। ঊষা যাদব তো এক চমকে দেওয়ার মতো কথাবার্তা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাকে বলা হয়েছিল যে, ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাইলে কোনো অভিনেত্রীর হাসিমুখে যৌন সম্পর্ক করা উচিত।
রাধিকা আপ্তে এ ব্যাপারে খোলাখুলি অনেক কথা বলেছেন আগেই। ওই তথ্যচিত্রে তিনি বলেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু কিছু লোককে তো ভগবানের মতো পূজা করা হয়। ওই ব্যক্তিরা এতটাই ক্ষমতাশালী যে নির্যাতিতার মনে হয়, তার কথা কেউ পাত্তা দেবে না। এছাড়াও আশঙ্কা থাকে যে, এ ব্যাপারে মুখ খুললে ক্যারিয়ারটাই বরবাদ হয়ে যাবে। হলিউডে যেরকম যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে #MeToo প্রচার শুরু হয়েছে, তেমনটা বলিউডে হলেও ভালো হতো।’
মারাঠি সিনেমার জন্য পুরস্কার জয়ী ঊষা যাদব বলেছেন, একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সুযোগ দেওয়া হলে তিনি এর বদলে কী দেবেন।
উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তার কাছে দেওয়ার মতো কোনো টাকাপয়সা নেই। এ কথা শুনে তাকে বলা হয় যে, টাকাপয়সার কথা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোনো প্রযোজক বা পরিচালক বা উভয়েই শয্যাসঙ্গিনী হতে বলে, সে কথাই বলা হচ্ছে।
ঊষা আরও বলেছেন, তাকে বলা হয়েছিল যে, ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাইলে কোনো অভিনেত্রীর হাসিমুখে যৌন সম্পর্ক করা উচিত। এতে আপত্তি জানালে বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাইলে এই মনোভাব সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, কাস্টিং কাউচ নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তেলগু অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডির এর প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন আরও কয়েকজন তেলগু অভিনেত্রী।
বিতর্ক আরও বাড়িয়ে বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান বলেছিলেন, এতে তো কমপক্ষে রোজগারের বন্দোবস্ত হয়, ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া হয় না। পরে সরোজ খান ক্ষমা প্রার্থনা করেন।