মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যাবধানে ৫ জনকে অজ্ঞান করে ৭ লাখ টাকা লুট!

মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যাবধানে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ভগ্নিপতি-শ্যালকসহ ৫ জন। অজ্ঞান অবস্থায় যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ বজলুর রহমান (৪০), তার শ্যালক মো. শাহআলম (৩৫), শহীদুল হক (৪০), সুমন (৩০) ও কামাল হোসেন (৩০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, বজুলুর রহমান তার শ্যালক শাহ আলমকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরাস্থ ইবিএল ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা তুলে গাজিপুর সদরঘাট রুটের যাত্রীবাহী বাস সুপ্রভাতে ওঠেন। তাদের গন্তব্য ছিল তেজঁগাও।

কিন্তু কে বা কারা গাড়িতেই দুজনকে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে কেটে পড়ে। গাড়ি গুলিস্তান আসার পর চালক ও হেলপার বিষয়টি টের পেয়ে- তাদের পকেটে থাকা মোবাইল থেকে তাদের এক আত্মীয়কে জানান। আত্মীয় স্বজন এসে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বজলুর রহমান ও শাহ আলম সম্পর্কে শালা দুলাভাই। তারা কাঁঠালবাগান এলাকায় থাকতেন।

তারা সম্প্রতি তেজগাঁওয়ের জিএনসি কোম্পানি থেকে একটি পিকআপ ভ্যান কিস্তিতে কিনেন। সেই কিস্তির ৪ লাখ টাকা দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে বাসের ভেতর অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েন।

অন্যদিকে দাদা মেটাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাকেটিং অফিসার শহীদুল ইসলাম (৪০) দুপুর একটার দিকে গুলশানের একটি ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তোলেন। বেলা আড়াইটার দিকে মহাখালীতে বন অধিদফতরের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বনানী থানা খবর দেয়।

থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার সহকর্মী শ্যামল জানান, টাকা নিয়ে অফিসে আসার কথা তার দেরী দেখে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। এরই মাঝে এ খবর পাই। মাঝখানে কি হয়েছে বলতে পারি না। ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তাকেও চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে সুমন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে সেনা কল্যাণ অফিসে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে অচেতন করেছে জানা যায়নি। তার মোবাইল ফোন ছিল না। টাকা পয়সা খোয়া গেছে কি না সেটাও জানা যায়নি।

অন্যদিকে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ কামাল নামে এক যুবকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। এর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

জিআরপি থানার কনস্টেবল জালাল আহমেদ জানান, অচেতন অবস্থায় স্টেশনে পড়ে থাকতে দেখে নিয়ে এসেছি। তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকেও চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েছে।

শেয়ার করুন: