চীনের তৈরি কৃত্রিম ডিম ঢুকছে বাংলাদেশে যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো, এই খবর অনেক পুরনো। তবে নতুন খবর হলো, চীনের তৈরি এই ডিম সিদ্ধ করতে গিয়ে আতঁকে উঠলেন কাজী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ নামে এক বাংলাদেশী। ডিম সিদ্ধ করতে গিয়ে যখন রঙিন আকার ধারণ করলো তখন তিনি বুঝতে পারলেন এটি চাইনিজ ডিম।
আর তাই সাথে সাথে সবার উদ্দেশে নিজের ফেসবুক পেইজে সচেতনামূলক পোস্ট দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ডিম সিদ্ধ করার পর রঙিন আকার ধারণ করেছে। আগে কখনো এরকম দেখিনি। এটা কি চাইনিজ ডিম ? যদি ডিমটি ভাজি করা হত তাহলে তো ডিমের ভেজাল ধরতেই পারতাম না। সতর্ক হোন। আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন।’ ডিম১১২০০৪ সাল থেকেই চীনে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে অনেক আগেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুণ ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
কিন্তু আপনি জানেন, কিভাবে তৈরি হয় এই কৃত্রিম ডিম? ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুতপ্রনালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে।
সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম। প্লাস্টিকের ছঁচ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়। শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরিতে করা হয়।
এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর মিশনখানে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।
আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়: ১। কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়। ২। এই ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ৩। কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোলস মসৃণ।