শারীরিক সম্পর্কে অক্ষম, অতঃপর যে জঘন্য কাজ করলেন স্ত্রী…

সোনারপুরে ১০ এপ্রিল নিজের বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন ট্যাক্সি চালক সমীর মিস্ত্রি। ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতাও ছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে শত্রুতার বশে খুন বলে মনে করেছিল পুলিস।

পরে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে খুনের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর স্ত্রী। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সমীর মিস্ত্রির স্ত্রী মধুমিতা মিস্ত্রি। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। মধুমিতার কললিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিস জানতে পেরেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তদন্তে জানা যায়, প্রেমিক চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুপরিকল্পিতভবে সমীরকে খুন করেছেন মধুমিতা। সোনারপুরের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা চন্দনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ সম্পর্ক চলছিল মধুমিতার।

মধুমিতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে কাজ করতেন। কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে সোনারপুর স্টেশনেই চন্দনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তারপর ঘনিষ্ঠতা।

জানা যায়, সমীর নাকি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। সে কারণে সমীরকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন মধুমিতা। বারুইপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল। কিন্তু ততদিন অপেক্ষা করতে পারেননি মধুমিতা-চন্দন।

চন্দনের সঙ্গে মিলে স্বামীকেই পথ থেকে সরানোর ফন্দি আঁটেন মধুমিতা। কোনো দিনই রাতে ঘরের দরজা খুলে খেতে বসতেন না সমীর-মধুমিতা। অথচ খুনের রাতে সেটাই করেছিলেন মধুমিতা। ঘরের দরজা খোলা ছিল। আর উল্টোদিক করে সমীরকে খেতে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগেই চন্দন গুলি করে পালায়।

পুলিশ জানিয়েছে, খুনের দিন বেশ কয়েকবার চন্দনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মধুমিতার। মধুমিতা ও তার প্রেমিক চন্দনকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সমীরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তারা। চন্দনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবায়। চন্দনও বিবাহিত। বাড়িতে তার স্ত্রী ও ১ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।

সুত্রঃ অনলাইন

শেয়ার করুন: