আমিন জুয়েলার্স

আমিন জুয়েলার্সে চুরি: মূল পরিকল্পনাকারীসহ আটক ৪

আমিন জুয়েলার্সে চুরি – রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটে আমিন জুয়েলার্সের শোরুম থেকে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুস সোবহান মোল্লাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৯৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার সকাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ, চাদপুর, মাওয়া ও মানিকগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আব্দুস সোবহান মোল্লা (৬১), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫), মেয়ে সীমা (২৭) ও মেয়ের জামাই হাফেজ মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বুলবুল (৪০)। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেক আসামি সাদ্দাম পলাতক রয়েছে। এখনও উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া আরও ১৮২ ভরি স্বর্ণ।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে গুলশান থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোশতাক আহমেদ বলেন, শোরুমের নিরাপত্তাকর্মী ও রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম পরিকল্পিতভাবে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করে। গত ১৪ তারিখ রাতে শোরুমের ছাদ কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে। পরে তারা ছাদের কাটা অংশে ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে তার ওপর একটি ড্রাম রেখে ঢেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার দুদিন পর সোমবার দোকান খুলে মালিক এই চুরি ঘটনা টের পান। পরে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে নামে।

মোশতাক আহমেদ বলেন, নিরাপত্তা প্রধান সোবহানকে ঘিরেই পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিলো। কিন্তু তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা অস্বীকার করেন। শরীরে কিছু ছিলে যাওয়ার দাগ দেখিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, সোবহান জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত বলে স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, অভিযান চালিয়ে ৪৯৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া বাকি ১৮২ স্বর্ণ উদ্ধারে রাজধানী ও এর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তাকর্মী সোবহানের বাড়ি গোপালগঞ্জে। চুরির পর তার স্ত্রী এসব স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোপালগঞ্জের নিলফা গ্রামের নজরুলের বাড়ি থেকে ২৫৩ ভরি স্বর্ণসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি স্বর্ণ মাওয়া ও মানিকগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।

শেয়ার করুন: