ইমরান আহমেদ
ইমরান আহমেদ

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা ৩২ ধারা পর্যালোচনা, গ্রহণযোগ্য আইন তৈরির আশ্বাস’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বির্তকিত ধারাগুলো পর্যালোচনা করবে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য আইন তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির সভাপতি। চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সংসদীয় কমিটির সাথে আলোচনায় বসতে চান সাংবাদিক নেতারা। এজন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করবেন তারা। ব্যাপক সমালোচনার মুখেও কোন পরিবর্তন আসেনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায়। এরই মধ্যে সংসদে আইনটি বিল আকারে উত্থাপন করেছেন তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। সেখানেও বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টি।

ডিজিটাল আইনের খসড়া থেকে গুপ্তচরবৃত্তি বিষয়ক ৩২ ধারা পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে ৩২ ধারায় একটি সেফ ক্লজ যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। এসব মাথায় নিয়ে বিলটি চার সপ্তাহ পরীক্ষা করছে সংসদীয় কমিটি। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, পরিবর্তনের এখতিয়ার কিন্তু সংসদের। অবজেকশন বা সাজেশন বিবেচনায় অবশ্যই নেয়া হবে। তারপরে সংসদে আবার উত্থাপন করবো তারপর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারায় রয়েছে, কেউ বেআইনিভাবে কোনো সংস্থার তথ্য প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তোলা যাবে। এতে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবেও বিবেচিত হবে। এসবে আপত্তি তুলে আলোচনার আগ্রহ সাংবাদিকদের।

ফেডারের সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, হয়তো এরকম একটি আইন করলো সরকার যাতে সমালোচনায় না পড়ে। সুযোগ আছে তারা যদি আলোচনা করতে চায় তাহলে সে আলোচনা অংশ নেব এবং মতামত দেবো। আমাদের আপত্তিগুলো মাননীয় স্পিকারের কাছে তুলে ধরবো যাতে সমাধান হয়। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় সব মতামত দিয়ে আগামী বাজেট অধিবেশনে সংসদে উপস্থাপন করবে কমিটি।

শেয়ার করুন: