দু’দফা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল শহর কলকাতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাতজনই কলকাতার, হাওড়ায় ৬ জন এবং হাওড়া ও হুগলিতে একজন করে নিহত হয়েছেন।
কালবৈশাখী ঝড়ে চারদিকে গাছ ভেঙে, গাছ উপড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতার রাস্তাঘাট। বিপর্যস্ত হয় বিমান পরিষেবা। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছে ট্রেনও। গভীর রাত পর্যন্ত অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি।
এদিকে, ট্রেন বাতিল হওয়ায় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে রাতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে আচমকা প্রচণ্ড বজ্রসহ ঝড়ে কমপক্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে থাকে। শত শত গাছ ভেঙে পড়ার পর রাস্তায় সড়ক চলাচল মারাত্মক বিঘ্ন হয়। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় এবং ভবন ধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।
যদিও বজ্রসহ বৃষ্টির ব্যাপারে আগেই পূর্বাভাস ছিল তবে এতবেশি বাতাসের গতি থাকবে তেমন কোনও ধারণাই ছিল না। কলকাতা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, বজ্রসহ ঝড়ের সাথে এত বেশি বাতাসের গতি গত কয়েক দশকেও দেখা যায়নি।