ইলিশ মাছে

যে কারণে পান্তা ইলিশের কোনো দোকান রমনা পার্কে নেই

মানুষ শখের বশে পহেলা বৈশাখের দিন রমনার বটমূলে আসে পান্তা ইলিশ খেতে। বাংলা নববর্ষে পান্তা-ইলিশ কবে থেকে বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে তার সঠিক ইতিহাস না জানা থাকলেও আবহমান বাংলার এই খাবারটি পহেলা বৈশাখে অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে চালু রয়েছে এখনও।

প্রতি বছর রমনার বটমূল এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অনেক ভ্রাম্যমাণ দোকানে ব্যাপক পরিমাণে পান্তা ইলিশ বিক্রি হলেও এ বছর কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরো রমনা পার্ক ঘুরে দেখা যায়, পার্কের ভেতরে এবার পান্তা ইলিশের কোনো দোকান নেই। শুধু পান্তা ইলিশ নয় এখানে তেমন কোনো ভ্রাম্যমাণ দোকানও দেখা যায়নি।

অনেকে পান্তা ইলিশ খেতে এসে বটমূল থেকে ঘুরে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফ্রি পানি বিতরণ করছে। কারণ হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, নিরাপত্তা জনিত কারণে এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ দোকান এখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ বলেন, এবার পান্তা ইলিশের কোনো দোকান রমনা পার্কে ঢুকতে দেয়া হয়নি। নিরাপত্তা জনিত কারণেই এবার এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে রমনা বটমূলে ঘুরতে আসেন তালহার বিনতে জুবায়ের। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। তিনি একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজকে বলেন, আমরা যাত্রাবাড়ী থেকে সকাল ৯টার দিকে রমনার বটমূলে ঘুরতে এসেছি। ইচ্ছা ছিল পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে পান্তা ইলিশ খাব। কিন্তু এখানে কোনো পান্তা ইলিশের দোকান খুঁজে পাইনি। সাব্বির নামে একজন বলেন, পুরো রমনা পার্কে ঘুরে একটিও পান্তা ইলিশের দোকান খুঁজি পাইনি। ইচ্ছা ছিল রমনায় এসে পান্তা ইলিশ খাব।

শেয়ার করুন: