ডিএমপি

ইভ টিজিং ও ধূমপান করলেই ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার

পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ উৎসব ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সবার জন্য আনন্দমুখর করতে অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইভ টিজিং রোধেও মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এবারও উন্মুক্ত স্থানে বিকেল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো আপত্তিকর পরিস্থিতি ইভাকুয়েশন প্ল্যানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও পহেলা বৈশাখের উৎসব আনন্দমুখর করতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলের গোটা এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ওই এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। সে সময় কেউ যেন যৌন নিপীড়নের শিকার না হন, সে জন্য পুলিশের বিশেষ টিম গোটা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করবে। ইভ টিজিং ও ধূমপান করলেই আমাদের মোবাইল কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেসব এলাকায় জলাশয় রয়েছে সেখানে নৌ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, টহল ডিউটি, ফুট প্যাট্রলিং, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, পুলিশের সাবকন্ট্রোল রুম, পুলিশ ব্লাড ব্যাংক ও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, সোয়াত, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার টেন্ডার, অ্যাম্বুল্যান্স, ডুবুরি দল।

খোলা রাখা হবে আশপাশের হাসপাতাল। সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। একই সঙ্গে পহেলা বৈশাখে কেউ কেউ ভুভুজেলা বাজিয়ে নারীদের উত্ত্যক্ত করে। এ জন্য ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি আপত্তিকর কিছু পরিলক্ষিত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য ১১টি পয়েন্ট থাকবে। সব দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি চেকিংয়ের পর অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমণ্ডি রবীন্দ্রসরোবর ও হাতিরঝিল এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান থাকবে।

শুধু রবীন্দ্রসরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। যেহেতু ওই দিন মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব শবেমেরাজ পালন করা হবে, তাই সবাইকে বিকেল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানের সব অনুষ্ঠান বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গল শোভাযাত্রা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে চিরাচরিত রুটেই যাবে। পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। কারণ চতুর্দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে মানব শিল্ড গঠন করা হবে। যারা মাস্ক ব্যবহার করবে তারা মাস্ক মুখে না পরে হাতে রাখতে পারবে। যারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় মাস্ক ও বিভিন্ন সামগ্রী বহন করবে, চারুকলা থেকেই আগে তাদের একটি তালিকা পুলিশকে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন: