মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা বিগত তিন বিসিএসের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা বা অন্য কোটাগুলো যদি পূরণ করা সম্ভব না হয় তাহলে সেটা মেধা তালিকা থেকে যারা শীর্ষে অবস্থান করবে তাদের দিয়ে পূরণ করা হবে। সেটিই পূরণ করা হয়েছে। ৩৩তম বিসিএসে ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩৫তম বিসিএসে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ৩৬তম বিসিএসে ৭০ দশমিক ৩৮ মেধা তালিকা থেকে এসেছে।
বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে মেধা কোটা ৪৫ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ এবং ক্ষেত্র বিশেষে জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ রয়েছে।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ছাড়া আন্দোলন থেকে সরে না আসার কথাও জানিয়েছেন তারা। একইদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। তবে কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে কোনো পরিবর্তনের চিন্তা আছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না, আজ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।
কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আলোচনা কিছুটা… অনির্ধারিত আলোচনা তো হয়, এরকম কিছু। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হলো এটার স্টেক হোল্ডার। তারা বিষয়টা একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে, দেখে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করবে। কোটার শূন্যপদে মেধাবীদের নিয়োগের সিদ্ধান্তের ফলে মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিন প্রথম ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পরিপ্রত্রটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।