এ কে এম নূরুল ইসলাম

বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলামের ইন্তেকাল

সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এ কে এম নুরুল ইসলাম দেশের আইনমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি সহধর্মিণী কবি জাহানারা আরজু এবং দুই ছেলে, এক মেয়ে ও আট নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি। ছোট ছেলে মোহাম্মদ জাহিনুল ইসলাম পেশায় প্রকৌশলী।

জাহিনুল ইসলাম ও মরহুমের শ্যালক খোরশেদ আলম চৌধুরী লাভলু কালের কণ্ঠকে জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত সপ্তাহে অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ রবিবার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর। সেখানে বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে শেষ জানাজার পর খলিলপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

শিক্ষানুরাগী মরহুম এ কে এম নুরুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিচারক ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকার আমলে ১৯৮৫ সালে আইনমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালে তাঁকে উপরাষ্ট্রপতিও করা হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

শেয়ার করুন: