প্রধানমন্ত্রী

১৫ আগস্টে হামলা বাঙ্গালী জাতির উপর আঘাত: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টে হামলা শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো বাঙ্গালী জাতির ওপর আঘাত। এ হত্যাকান্ডের মূল কারণ ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র একটি দিনে আমরা নিঃস্ব হলাম।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই বলে গেছেন, সাত কোটি বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ পারেনি। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখ দেখে না।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলাম। ২০১৫ সালের মধ্যেই তা করতে পেরেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ। মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পেছনে বাংলার কৃষকদের সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিনের সেই হামলা কোনও একটি পরিবারের ওপর ছিলো না। হামলা ছিলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সে ছিলো দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রতিশোধের আঘাত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালী জাতি যাতে মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারে সে জন্যই ওই হামলা। জাতির জনককে হত্যা। আর তারই ধারাবাহিকতায় জেলখানায় জাতির মহান আরও চার নেতাকে হত্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে জাতির জনক যখন কাজ করে যাচ্ছিলেন, যখন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে শুরু করেন তখনই তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩১ জুলাই আমি আর রেহানা দেশের বাইরে গেলাম। সবাইকে রেখে গেলাম। কিন্তু মাত্র পনেরো দিনের ব্যবধানে মাত্র একটি দিনে আমরা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর নিজের দেশে ফেরা নিয়ে তৎকালীন সরকার যেসব বাধার সৃষ্টি করে তা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক পর্যায়ে বাধা উপেক্ষা করেই দেশে ফেরি এবং আওয়ামী লীগের হাল ধরি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফেরার পর এখন দেশের উন্নয়নে অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যাতে মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে সেজন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন: